সরকার পরিচালনায় দক্ষতা অনেকাংশে সুশাসনের উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতপক্ষে যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয় তাই সুশাসন৷
সহজ কথায় সুশাসন হলো- দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র বা সরকার ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে দায়বদ্ধতা আছে। ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বড় করে দেখা হয়। বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সুশাসনের নিয়ামক।
সরকার পরিচালনায় প্রশাসনে দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দুর্নীতি, ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা প্রয়োজন । এছাড়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা দেশের জন্য জরুরি যাতে জনগণ সুবিচার পায়। দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের জন্য শাসন ব্যবস্থার সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দূর করতে হবে সুশাসনের প্রতিবন্ধকতা।
সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সুশাসনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। নিজেদেরকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম ধারক ও বাহক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সমৃদ্ধশালী ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসাবে গঠনে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে ।
কাজ : বাংলাদেশের সরকার পরিচালনায় সুশাসনের গুরুত্ব চিহ্নিত করো।
Read more